আম বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ফল, যা অর্থনৈতিক এবং পুষ্টিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমের ফলনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণ। এই প্রতিবেদনটিতে আমগাছে পোকা দমনের কার্যকর উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
আমের প্রধান ক্ষতিকারক পোকা
আমগাছে বেশ কয়েক ধরনের ক্ষতিকর পোকা দেখা যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
1. ম্যাঙ্গো হপার (আমফল ছিদ্রকারী পোকা)
2. ফল ছিদ্রকারী পোকা
3. ম্যাঙ্গো মিলিবাগ
4. পাতা মোড়ানো পোকা
5. ছাতরা পোকা
আমের পোকা দমনের কার্যকর উপায়
১. যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ
আক্রান্ত পাতা, ডাল এবং ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করা।
গাছে ফাঁদ (আলো ফাঁদ, ফেরোমন ফাঁদ) ব্যবহার করা।
গাছের আশেপাশের আগাছা পরিষ্কার রাখা।
২. জৈব নিয়ন্ত্রণ
নিম তেল বা নিম বীজের নির্যাস স্প্রে করা।
ট্রাইকোগ্রামা পোকা বা পরজীবী কীট ব্যবহার করা, যা ক্ষতিকারক পোকাদের দমন করে।
৩. রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণ
অনুমোদিত কীটনাশক (যেমন- ইমিডাক্লোপ্রিড, ক্লোরপাইরিফস) সঠিক মাত্রায় স্প্রে করা।
আমের ফুল আসার সময় থেকে কীটনাশকের ব্যবহার সীমিত রাখা, যাতে পরাগায়নকারী পোকাদের ক্ষতি না হয়।
৪. সমন্বিত দমন ব্যবস্থাপনা (IPM)
উপরের সব পদ্ধতির সমন্বিত প্রয়োগ নিশ্চিত করা।
কীটনাশকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ও জৈব নিয়ন্ত্রণের ওপর জোর দেওয়া।
উপসংহার
আমের পোকা দমন করতে হলে কৃষকদের সচেতন হতে হবে এবং সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে, জৈব ও সমন্বিত দমন ব্যবস্থার মাধ্যমে কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশবান্ধব উপায়ে আম চাষ করা উচিত। এতে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশা
পাশি মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্রভাবও হ্রাস পাবে।
Leave a Comment