এভোকাডো শুধু সুস্বাদু ফলই নয়, এটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। চাইলে ঘরেই সহজে এভোকাডো গাছ চাষ করতে পারো। তবে এটি ধৈর্যের কাজ, কারণ গাছ বড় হতে সময় লাগে। আসো, ধাপে ধাপে শিখে নিই কিভাবে এভোকাডো চাষ করা যায়।
১. বীজ সংগ্রহ ও প্রস্তুতি
এভোকাডোর বীজ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করো।
বীজের নিচের অংশ চ্যাপ্টা এবং ওপরের অংশ সুচালো হয়, তাই দিক ঠিকমতো চিনে রাখো।
বীজ শুকিয়ে না ফেলে সরাসরি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করো।
২. পানিতে অঙ্কুরোদগম
বীজের গায়ে ৩-৪টি টুথপিক গেঁথে পানির গ্লাসের ওপর এমনভাবে বসিয়ে দাও যেন নিচের অংশ পানিতে ডুবে থাকে।
গ্লাসটি এমন জায়গায় রাখো যেখানে আলো পাওয়া যায়, তবে সরাসরি সূর্যের আলো না লাগে।
প্রতি ২-৩ দিনে পানি পরিবর্তন করো, যেন ব্যাকটেরিয়া না জন্মায়।
২-৬ সপ্তাহের মধ্যে বীজ ফেটে ছোট শিকড় বের হবে এবং ধীরে ধীরে ডগা গজাবে।
৩. মাটিতে রোপণ
যখন শিকড় ৫-৬ ইঞ্চি লম্বা হয়ে যাবে এবং ওপরের অংশে পাতার গুটলি দেখা যাবে, তখন এটি মাটিতে রোপণ করার জন্য প্রস্তুত।
১০-১২ ইঞ্চি গভীর গামলা বা টব নাও এবং এর মধ্যে জৈব সার ও বেলে দোআঁশ মাটির মিশ্রণ তৈরি করো।
বীজের অর্ধেক অংশ মাটির ওপরে রেখে রোপণ করো, যেন এটি ঠিকমতো বাড়তে পারে।
৪. যত্ন ও পরিচর্যা
নিয়মিত পানি দাও, তবে অতিরিক্ত পানি দিলে গাছ পচে যেতে পারে।
পর্যাপ্ত আলোতে রাখো, তবে অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা এড়িয়ে চলো।
যখন চারা ১২ ইঞ্চি লম্বা হবে, তখন গাছের বাড়তি শাখা ছেঁটে দিলে গাছ ঘন ও শক্তিশালী হবে।
৫. ফল আসার সময়
এভোকাডো গাছ সাধারণত ৩-৫ বছর পর ফল দিতে শুরু করে। তবে টবে লাগানো গাছে ফল আসতে একটু দেরি হতে পারে।ভালো ফলনের জন্য মাঝে মাঝে সার দিতে পারেন, বিশেষ করে জৈব সার বা কম্পোস্ট ব্যবহার করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
Leave a Comment