রোগের বাংলা নাম: লক্ষির গু,রোগের

ইংরেজি নাম: False smut,

রোগের জীবানুর নাম:Ustilaginoidae

virens



আক্রমণকাল- দুধ অবস্থা ও ধান পাকার সময়। রোগের বাহক:

বীজ

অনুকূল পরিবেশ:

১. অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও জমির উর্বরতা এই রোগ বৃদ্ধির পক্ষে

অনুকূল।

২. ধানের দুধ অবস্থার পর থেকে ধান পাকার আগ পর্যন্ত যে

কোনো সময় এ রোগটি দেখা যায় ৷

৩. ধানের ফুল আসার সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত এবং জমিতে

মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া সারের ব্যবহার করলে রোগের প্রকোপ

বেশি হয়।

রোগের লক্ষণঃ

১. গুটিকার ভেতরের অংশ হলদে কমলা রং এবং বহিরাবরণ

সবুজ অথবা কাল হয়। কচি গুটিকাগুলো ১ সেমি এবং পরিপক্ক

অবস্থায় আরও বড় আকারের হতে পারে।

২. এক রকমের আঠা জাতীয় পদার্থ থাকার জন্য গুটিকা থেকে

ক্ল্যামাইডোস্পোর জাতীয় অনুবীজ সহজে বের হয় না ৷

৩. সাধারণত: কোন শীষে কয়েকটা ধানের বেশী আক্রমণ হতে

দেখা যায় না ৷


প্রতিকার ব্যবস্থাঃ

অর্গানিক সমাধান:

১. আক্রান্ত গাছ বা শীষ তুলে ফেলা এ রোগ দমনের সবচেয়ে

ভাল উপায়।

২. বীজ শোধন দ্বারাও এ রোগ দমন করা যায়।

৩. সুস্থ গাছ হতে বীজ সংগ্রহ করে পরবর্তী মৌসুমে বপন করেও

এ রোগ দমন করা যায়।

৪. ক্ষেতের অতিরিক্ত আদ্রতা পরিহার করা।

রাসায়নিক সমাধান:

শীর্ষ বের হবার সময় প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে

কার্বেন্ডাজিম বা কার্বেন্ডাজিম+ হেক্সাকোনাজল গ্রুপের

ছত্রাকনাশক স্প্রে করা।

অথবা এজোক্সিস্ট্রবিন (২০%) + সিপ্রকোনাজল (৮%) গ্রুপের

ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মি.লি হারে মিশিয়ে স্প্রে

করতে হবে৷

Leave a Comment